মানুষের মৃত্যু হবে, কবরের জায়গা হবে না, এটা ভাবা যায় না: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ গণকবরস্থানের ফলক উন্মোচন করেন। গতকাল দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপ্টা এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থসামাজিক অবকাঠামোসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে।

এ কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোলমডেলে পরিণত হয়েছে। এ রকম একটি উন্নত দেশে মানুষের মৃত্যু হবে, আর তার কবরের জায়গা হবে না, এটা ভাবা যায় না। তিনি বলেন, ‘এমন একটি সংবাদ গণমাধ্যমের কল্যাণ দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ব্যথিত হয়েছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এখানে তাদের জন্য গণকবর ও মসজিদ স্থাপন করে দিয়েছি।’

গতকাল মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের দুই পাশে বসবাসকারী ভূমিহীন প্রায় দুই হাজার মানুষের জন্য কবরস্থান ও মসজিদের ফলক উন্মোচন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন। এ সময় মসজিদ ও কবরস্থানের জমির দলিল ভূমিহীনদের সংগঠক আবদুর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে কবরস্থান ও মসজিদ পরিদর্শন করেন আইজিপি।

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের সুতার গোপ্টা এলাকায় সাড়ে ২৯ শতাংশ জমির ওপর আইজিপি নিজ অর্থায়নে কবরস্থানটি নির্মাণ করে দেন।
ভূমিহীন গণকবর ও সমাজসেবা সংস্থার সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘নদীভাঙা মানুষের নির্দিষ্ট কোনো কবরস্থান ছিল না। এখন আমরা কবরস্থান এবং মসজিদ দুটিই পেয়েছি।’

লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘২৯ শতাংশ জমি কিনে কবরস্থানটি করা হয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৪০০ জনের বেশি মানুষকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মানবিক কারণে আইজিপির উদ্যোগে জেলা পুলিশ কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। এতে মরদেহ নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তা দূর হলো।’

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন (পিপিএম), লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।