‘মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন মিটু চৌধুরী’

‘মিটু চৌধুরী সড়কের’ স্মৃতিফলক উন্মোচন করেন তাঁর সহধর্মিণী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মঞ্জুলা চৌধুরী (বাঁয়ে)
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় নাচোল বাসস্ট্যান্ড থেকে নাচোল রেলস্টেশন পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রাস্তা ‘মিটু চৌধুরী সড়ক’ নামে নামকরণ করা হয়েছে। প্রয়াত মিটু চৌধুরী নাচোল ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। তিনি নাচোল উপজেলা পরিষদের দুইবারের নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও নাচোল পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। স্মৃতিফলক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মিটু চৌধুরী মহৎ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।তিনিই নাচোলে উন্নয়নের প্রথম বীজ বপন করেন।


নাচোল বাসস্ট্যান্ডে আজ সোমবার দুপুরে ‘মিটু চৌধুরী সড়ক’ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়। এই প্রথম এ উপজেলায় কোনো সড়কের নামকরণ করা হলো।

ফলক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাদের বলেন, নাচোলবাসী যুগে যুগে এ রকম সৎ ব্যক্তিকে স্মরণ করবে। উপজেলা পরিষদ এই সড়ক সব সময় পরিষ্কার রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিশেষ অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা সুলতানা বলেন, ‘আজকের দিনটি নাচোলবাসীর জন্য গর্বের। যাঁর স্মরণে এই সড়ক হলো, তাঁকে আমি দেখিনি। কিন্তু যত মানুষের কাছে তাঁর কথা শুনেছি, মনে হয়েছে তিনি মহৎ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। সবাই যেন তাঁকে অনুসরণ করেন।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি নাচোল পৌরসভার মেয়র আবদুর রশিদ বলেন, নাচোলের জন্য আজ ঐতিহাসিক দিন। এর আগে এখানে কোনো সড়কের নামকরণ হয়নি। মিটু চৌধুরী নাচোলে প্রথম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। নাচোলকে আলোকিত করেন। তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতেন না। নাচোল পাইলট স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হক বলেন, মিটু চৌধুরী একজন শিক্ষাবিদ। তিনি স্বতন্ত্র হয়েও বিপুল ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তাঁর সময় সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। তিনিই নাচোলে উন্নয়নের প্রথম বীজ বপন করেন।

নাচোল ডাকবাংলোয় আলোচনা সভায় অতিথিরা

নাচোল সরকারি ডিগ্রি কলেজের ‘অফিসার ইনচার্জ’ হাফিজুর রহমান বলেন, এই রাস্তা বেহাল ছিল। নাচোল স্টেশনের সড়কে গরুর গাড়ির চাকা কাদায় ডুবে যেত। মিটু চৌধুরী উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সড়কটি পাকা করেন। এই সড়ক তাঁর নামে হওয়া যথার্থ।

আলোচনা সভার পর ফলক উন্মোচন করেন মিটু চৌধুরীর সহধর্মিণী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মঞ্জুলা চৌধুরী। তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিউর রহমান, নাচোল ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক আলাউদ্দিন আহমেদ, মিটু চৌধুরীর ছাত্র নূর কামাল, নাচোল পৌরসভার কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ, নাচোল মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওবাইদুর রহমান, নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা প্রমুখ।