মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে কবরস্থান থেকে ৯টি কঙ্কাল চুরি

কবর থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে স্থানীয়রা ওই কবরস্থানে ভিড় করছেন। আজ সকালে ঘিওরের বলিয়াখোড়া ইউনিয়নের বড় ধুলন্ডি গ্রামে
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার একটি কবরস্থান থেকে নয়টি কঙ্কাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার বলিয়াখোড়া ইউনিয়নের বড় ধুলন্ডি গ্রামের একটি কবরস্থান থেকে কঙ্কালগুলো চুরি হয়েছে।

সরেজমিনে এলাকাবাসী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বড় ধুলন্ডি গ্রামের বাসিন্দা ও কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন কবরস্থান পরিষ্কার করতে যান। এ সময় তিনি কয়েকটি কবর খোঁড়া দেখতে পান। পরে তিনি কাছে গিয়ে দেখেন, এসব কবর থেকে কঙ্কাল তুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি কবরস্থান ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আকতার হোসেনকে বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে আজ সকাল নয়টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিবালয় সার্কেল) নূরজাহান লাবণী, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) মো. মোহসেন উদ্দিন, ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

আকতার হোসেন খান বলেন, ২০১৬ সালে বড় ধুলন্ডি গ্রামে কবরস্থানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেসব কবর থেকে কঙ্কালগুলো চুরি হয়েছে, সেগুলোতে দুই মাস থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে লাশ দাফন করা হয়েছে। কবর থেকে কঙ্কাল চুরি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

গতকাল রাতে কোনো এক সময় কঙ্কালগুলো চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে

এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাকি কবরগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও স্বজনেরা শঙ্কায় আছেন।

স্থানীয় মহাদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘খবর পেয়ে কবরস্থানে এসে দেখি, নয়টি কবর খোঁড়া। এর মধ্যে আমার বাবার কবরের কঙ্কালও চুরি হয়েছে। সাত মাস আগে আমার বাবা মারা গেছেন।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূরজাহান লাবণী জানান, গভীর রাতে কোনো এক সময় সংঘবদ্ধ চক্র নয়টি কবরের মাটি খুঁড়ে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।