মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আজ রোববার আওয়ামী লীগের দুই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট এবং এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোট বর্জন করা দুই প্রার্থী হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুল কাদের (আনারস প্রতীক) ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক)।
আমিনুর রহমানের অভিযোগ, সকালে ভোট শুরুর পর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওরফে রাজার পক্ষে জাল ভোট দেওয়া হয়। কয়েকটি কেন্দ্রে তাঁর (আমিনুর) এজেন্টদের কাজে বাধা দেওয়া হয়। এ কারণে তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন।
অপর বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অভিযোগ, জিয়নপুর, বাচামারা, খলসী, কলিয়া ও দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট এবং কেন্দ্র থেকে তাঁরসহ অন্য প্রার্থীর এজেন্টদের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানোর হলেও কোনো ফল হয়নি। তাই ভোট বর্জন করেছেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আখন্দ প্রথম আলোকে বলেন, ওই দুই প্রার্থীর (বিদ্রোহী) অভিযোগ ঠিক নয়। কোন কোন কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে, তাঁরা তা স্পষ্ট করে জানাননি।
ইস্তাফিজুল হক আখন্দের ভাষ্য, নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবাই নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনিয়ম করায় জিয়নপুর খাঁপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে পর্যন্ত আটক করা হয়েছে।