প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে

মানিকগঞ্জে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর শাস্তির দাবি

অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বন্ধুসভার সদস্যরা। শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে
ছবি: আব্দুল মোমিন

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় এক নারী পোশাকশ্রমিকের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীর শাস্তির দাবিতে আজ শুক্রবার সকালে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করা হয়েছ । প্রথম আলো ট্রাস্টের আওতায় অ্যাসিডদগ্ধ নারীদের জন্য প্রথম আলোর সহায়ক তহবিলের উদ্যোগে মানিকগঞ্জ বন্ধুসভা এ মানববন্ধন আয়োজন করে । মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন স্থানীয় সংগঠন দিশারী, জাগরণী কিশোর ক্লাব, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও প্রগতি লেখক সংঘের সদস্যরা।

মানববন্ধনে মানিকগঞ্জ বন্ধুসভার সহসভাপতি চান মিয়া সভাপতিত্ব করেন। এতে বক্তৃতা করেন সুজনের জেলা শাখার সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, প্রথম আলো মানিকগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা বিমল রায়, প্রগতি লেখক সংঘের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, মানিকগঞ্জ বন্ধুসভার সদস্য রমজান আলী, মৌসুমী আক্তার, দিশারীর সভাপতি হাসান শিকদার, জাগরণী কিশোর ক্লাবের সভাপতি মো. আশিকুজ্জামান প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত নাঈম মল্লিকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দেড় বছর আগে মানিকগঞ্জ সদরের বেতিলা গ্রামের নাঈম মল্লিকের সঙ্গে সাটুরিয়া উপজেলার ধানাকোড়া ফেরাজিপাড়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের মেয়ে সাথীর বিয়ে হয়। মাদকসেবী হওয়ায় নাঈম ঠিকমতো কাজ করতেন না। যৌতুকের জন্য সাথীকে মারধর করতেন। প্রায় চার মাস আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। সাথী বাবার বাড়িতে চলে আসেন। পরে ঢাকার ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানায় কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি সাথীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন নাঈম। গত ২৮ জানুয়ারি রাত একটার দিকে ঘরের ভাঙা জানালা দিয়ে ভেতরে ঢুকে সাথীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়েন নাঈম। অ্যাসিডে সাথীর মুখ, গলা ও হাত ঝলসে যায়।

এ ঘটনায় গত শনিবার নাঈম মল্লিককে আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন সাথীর মামা লাল মিয়া। পরে র‌্যাব অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাতে জেলা সদরের সাকরাইল এলাকা থেকে নাঈমকে গ্রেপ্তার করে। আজ সকালে তাঁকে সাটুরিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে নাঈমকে কারাগারে পাঠানো হয়। আর অ্যাসিডদগ্ধ সাথী শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।