শিক্ষককে না বলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি চলে যাওয়ায় এক শিশুশিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মনতলা গ্রামে। সে টাঙ্গাইলের সখীপুরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার সেখানে এ ঘটনা ঘটে।
শিশুটির নাম মো. আবদুল্লাহ (৯)। বর্তমানে সে কালিয়াকৈরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আবদুল্লাহ সখীপুরের কালমাঘাট এলাকার মোহাম্মদিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, শিশুটিকে মারধর করা হয়নি।
আবদুল্লাহর বাবা রবিউল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা থেকে আবদুল্লাহর খাবারের প্লেট হারিয়ে যায়। সেই ভয়ে সে গত বৃহস্পতিবার সকালে মাদ্রাসার পাশে কালিয়াকৈর উপজেলার সলংগা গ্রামে নানার বাড়িতে চলে যায়। পরের দিন তার নানি আবার মাদ্রাসার শিক্ষক আজিজুল ইসলামের কাছে রেখে আসেন।
রবিউল অভিযোগ করেন, মাদ্রাসায় রেখে আসার পর আবদুল্লাহকে শিক্ষক আজিজুল ইসলাম মারধর করেন। এ সময় তাঁর বাঁ হাত ভেঙে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি অটোরিকশায় করে আবদুল্লাহকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, আবদুল্লাহকে মারধর করা হয়নি। সে আবার বাড়ি চলে যেতে চাইলে হাত ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। এ সময় সে পড়ে গেলে হাত ভেঙে যায়।