স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, মহেশখালী সদরে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম গোরকঘাটা-জনতা বাজার সড়ক। ২৭ কিলোমিটার সড়কের ওপর দিয়ে উপজেলার বড় মহেশখালী, হোয়ানক ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কবলে পড়ে হোয়ানক ও কালারমারছড়া ইউনিয়নের অন্তত ১০ কিলোমিটার অংশ সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। বর্ষা মৌসুমে গর্তে পানি জমে থাকায় অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত টমটম চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের শুকুরিয়াপাড়া, পানিরছড়া, ধলঘাটপাড়া, কালালিয়াকাটা, ছনখোলাপাড়া, টাইমবাজার, রাজুয়ারঘোনা ও ডেইল্যাঘোনা এবং কালারমারছড়া ইউনিয়নের মিজ্জিরপাড়া, আঁধারঘোনা, নোনাছড়ি, কালারমারছড়া বাজারের উত্তর পাশে, চিকনিপাড়া, ঝাপুয়া, মাইজপাড়া, উত্তর নলবিলা ও চালিয়াতলী এলাকায় সড়কে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কিছু স্থানে লোকজন গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে পার হচ্ছে।
কালারমারছড়া ইউনিয়নের ঝাপুয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বেশির ভাগ অংশই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কিন্তু বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছে।
চালিয়াতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেমসন বড়ুয়া বলেন, একসময় উপজেলা সদরে যেতে ৩০ মিনিট সময় লাগত। কিন্তু এখন ভাঙা সড়কের কারণে সময় লাগছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টার বেশি।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওচমান শরীফ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে ইতিমধ্যে উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় অনেকবার উত্থাপন করেও কোনো কাজ হচ্ছে না। ফলে ভাঙা সড়ক নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নয় মাস ধরে শুনছি সড়কটি সংস্কার হবে। কিন্তু সড়কটি সংস্কার হলো না। ইতিমধ্যে সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ২৭ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১০ কিলোমিটার বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু পুরো সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি ১২ থেকে ১৮ ফুট প্রস্থ সম্প্রসারণ করার জন্য প্রায় ৬৫ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর দরপত্রের আহ্বানের পর চার মাস আগে তা চূড়ান্ত অনুমতি নিতে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাই মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে ভাঙা সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।