নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে একটি বোর্ডে।
নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের নানা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে একটি বোর্ডে।

মসজিদে বিস্ফোরণ

অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ এনে পুলিশের হত্যা মামলা

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। শনিবার রাতে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ মামলা হয়েছে। তদন্তে যাদের অবহেলা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলাটির তদন্ত চলছে।

মামলার অভিযোগের বিষয়ে ওসি আসলাম হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে শহরের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন। এ ঘটনায় রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত এক শিশুসহ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন ১৪ জন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, মসজিদ কমিটি, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ভবন নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবহেলার কারণে এই আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এই অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডে অর্ধশতাধিক মুসল্লি দগ্ধ হন।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট ও পাইপলাইনের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সবগুলো তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে।