সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অডিট কর্মকর্তা পরিচয়ে নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে পালানোর সময় দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জবাবীপুর বাজার থেকে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আটক করেন। সন্ধ্যায় তাঁদের বদলগাছি থানা–পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ওই দুই ব্যক্তি হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভান্ডারীকাঠি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রেজাউল ইসলাম (৩০) ও মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার আমগ্রামের মৃত অনীল চন্দ্রের ছেলে অবির ঘোষ (২৮)। এ ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুকনুজ্জামান বাদী হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কার্যালয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, রেজাউল ও অবির মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসায় গিয়ে নিজেদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অডিটর পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা নেন। এরপর তাঁরা দাউদপুর কাদিমপুর হাফেজিয়া মাদ্রসা ও এতিমখানা যান। ওই মাদ্রাসার শিক্ষকেরা বিষয়টি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানান। তখন তাঁরা দুজন সিএনজি নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। খবর পেয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁদের খুঁজতে থাকেন।
সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মচারী রজত গোস্বামী বলেন, ‘আমরা দুপুর ১২টা পর জাবারীপুর বাজারে গিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজে পাই। সেখান থেকে তাঁদের সমাজসেবা কার্যালয়ে আনা হয়। তাঁরা নিজেদের মন্ত্রণালয়ে অডিট কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকে টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেন।’
দেউলিয়া দারুল এহসান হাফেজিয়া মাদ্রাসার কমিটির সদস্য আ. মতিন বলেন, ‘তাঁরা এখানে মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা বলে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি।’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুকুনুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন এতিমখানা ও মাদ্রাসা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আদায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে আটক করেছি। মামলা দিয়ে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
বদলগাছি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাতে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। দুই আসামিকে বুধবার আদালতে পাঠানো হবে।