ফরিদপুরের মধুখালী পৌর নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী খন্দকার মোরশেদ রহমান পথসভার নামে মিছিল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি পথসভা শেষ করে পদযাত্রার নামে মিছিলের মাধ্যমে মহড়া দেওয়া হয়। এতে নারী-পুরুষসহ কয়েক শ ব্যক্তি অংশ নেন।
পৌরসভার নির্বাচণ আচরণ বিধিমালার ১১ ধারা(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শোডাউন করা যাইবে না।’
আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খন্দকার মোরশেদ রহমান বলেন, ‘আমি মিছিল করিনি, পদযাত্রা করেছি। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি।’ তাঁকে নির্বাচনী আচরণবিধির ১১ নম্বর ধারা সম্পর্কে আবগত করা হলে তিনি নিরুত্তর থাকেন।
আজ বিকেলে মধুখালী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রার্থী মোরশেদ রহমান ও মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগমের নেতৃত্বে মিছিল বের হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী রেলগেট এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরে আখচাষি সমিতির পাশে অবস্থিত আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পদযাত্রার নামে ওই মিছিল থেকে প্রথমে প্রার্থীর সমর্থনে স্লোগান দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে নেতারা স্লোগান থামিয়ে দেন।
পথসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রতন কুমার বিশ্বাস। বক্তব্য দেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদা বেগম, নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোরশেদ রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ কবিরুর আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা আগামী ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত মধুখালী পৌসভার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোরশেদ রহমানকে দ্বিতীয়বারের জন্য পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, মিছিল পদযাত্রা বা যেকোনো ধরনের শোডাউন নির্বাচনী আচরণবিধি পরিপন্থী। কোনো প্রার্থী এটি করে থাকলে তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।