পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বাসের চাপায় এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কের গুদিঘাটা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. মিলন হাওলাদার (১৮)। তিনি উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মো. রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে এবং তুষখালী মহিউদ্দিন মহারাজ কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে মিলন হাওলাদার মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়ক দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় গুদিঘাটা এলাকায় পৌঁছালে মঠবাড়িয়াগামী রোহান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে মিলন হাওলাদারকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মিলন হাওলাদারের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বাসটি জব্দ করে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে রাখে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভান। বাসের সব আসন পুড়ে গেছে। এদিকে দুর্ঘটনায় মিলন হাওলাদার নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর সহপাঠীরা তুষখালী কলেজের সামনে মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।
পরে বেলা পৌনে একটার দিকে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উর্মি ভৌমিক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মহিউদ্দিন মহারাজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়কে থেকে সরিয়ে দেন। বেলা একটার দিকে মঠবাড়িয়া-চরখালী সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, নিহত কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। ঘাতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাসের চালক পলাতক।