খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে এবার খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।
একই চিঠিতে বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অনিন্দ্য ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে অনিন্দ্য ইসলাম বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। ওই কমিটিতে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে বাদ দেওয়া হয়। মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক হয়েছেন আগের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল আলমকে। জেলার আহ্বায়ক করা হয়েছে আগের সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খানকে।
কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নজরুল ইসলাম। সেখান থেকে নতুন কমিটি গঠনে ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি কমিটি পুনর্গঠনের দাবি জানান। এর দুই দিন পর ১৪ ডিসেম্বর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে নজরুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি। তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছিল ওই নোটিশে।
সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে সন্তুষ্ট হতে না পারার অভিযোগে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ৪৪ বছর রাজনীতি করে বিএনপিকে টিকিয়ে রাখার ‘পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম বলেন, তিন মাস আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) কাছে ২৯ পাতার একটি আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। তাতে এ অঞ্চলের দল গঠনে যে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা হয়েছে তার প্রতিকার চাওয়া হয়েছিল, সেই আবেদন মূল্যায়িত হয়নি। বরং আকস্মিকভাবে মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি গঠনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে খুলনা বিএনপির সঙ্গে জড়িত থাকা কারো সঙ্গেই কোনো প্রকার আলোচনা করা হয়নি। একটি পক্ষ কারসাজি করে এ কাজ করেছে।