ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুই সদস্য পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনায় ৩০ জনের মতো আহত হয়েছেন। পুলিশ এক প্রার্থীকে আটক করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দারের ভাই মিজান পোদ্দার চাঁদপুর ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে নির্বাচন করছেন। একই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন কবির গাইন ও মো. রুহুল আমিন। মিজানের কর্মী মো. শাজাহান মাঝি সম্প্রতি কবির গাইনের এক কর্মীর বাসায় পোস্টার সাঁটান। ওই পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে দুই কর্মীর মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গতকাল কবির গাইনের লোকজন শাজাহান মাঝিকে মারধর করেন। শাজাহান মাঝি তাঁর শ্যালক আবু সাঈদ মাঝিকে ডেকে আনেন। তাঁকেও পিটিয়ে জখম করেন কবির গাইনের লোকজন।
বিষয়টি ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দারের কানে যায়। এরপর তাঁর পক্ষের লোকজন কবির গাইনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে প্রার্থী মিজান পোদ্দার, তাঁর ভাই গিয়াস উদ্দিন পোদ্দারসহ ১৪-১৫ জন আহত হন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ কবিরকে আটক করে। সংঘর্ষে কবিরের বাবা আবু সাঈদ গাইনসহ তাঁদের পক্ষেরও ১৫ জনের মতো আহত হয়েছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ জনকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত আরও কয়েকজনকে ভোলা শহরে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)এস এম জিয়াউল হক বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।