সাতক্ষীরার ভোমরা বন্দর দিয়ে আজ সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পেঁয়াজের কোনো ট্রাক ঢোকেনি। গত শনি ও রোববার দুই দিনে ভোমরা বন্দর দিয়ে ৩৬টি ট্রাকে ৮২৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। তবে আমদানি করা এসব পেঁয়াজের অধিকাংশই পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমদানিকারকেরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
সাতক্ষীরা ভোমরা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পাঁচ দিন অপেক্ষমাণ পেঁয়াজভর্তি ৩০০ ট্রাকের মধ্যে শনিবার ৩১টি ট্রাকে ৭২১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বাংলাদেশের ভোমরা বন্দরে ঢোকে। রোববার সন্ধ্যায় পাঁচটি ট্রাকে ১০৮ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ঢোকে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে পূর্বঘোষণা ছাড়াই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শর্ত সাপেক্ষে শনিবার কাগজপত্র প্রস্তুত ছিল—এমন পেঁয়াজবাহী ৩১টি ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢোকে। একই ভাবে রোববার সন্ধ্যায় আসে পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ। তবে পাঁচ-ছয় দিন আটকে থাকার পর পেঁয়াজ আসায় সেগুলোর বেশির ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে এখনো পেঁয়াজভর্তি ২৩৫টি ট্রাক আটকে রয়েছে। এর মধ্যে পেঁয়াজভর্তি শতাধিক ট্রাক ফিরে গেছে। পচন ধরায় কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ স্থানীয়ভাবে বিক্রি করে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সি অ্যান্ড এফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কান্তি দত্ত মুঠোফোনে জানান, পচন ধরায় শনিবার পাঁচ ট্রাক পেঁয়াজ স্থানীয়ভাবে আমদানিকারকেরা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। রোববার আরও কয়েক ট্রাক পেঁয়াজ কম মূল্যে বিক্রি করে দিয়েছেন। অধিকাংশ পেঁয়াজে পচন ধরছে। কয়েকটি ট্রাক ঘোজাডাঙ্গা বন্দর থেকে ফিরে গেছে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মহসিন হোসেন বলেন, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পেঁয়াজভর্তি কোনো ট্রাক ভোমরা বন্দরে ঢোকেনি। আজ পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে ঢুকবে কি না, তা ভারতের ঘোজাডাঙ্গা কাস্টমস অফিস থেকে এখনো জানানো হয়নি। তবে অন্যান্য পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে ভোমরা বন্দরে আজ ঢুকেছে।