কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আরও ২১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের তালিকায় আছেন ছয়জন চিকিৎসক, পাঁচজন নার্স ও চারজন পুলিশ সদস্য। আজ রোববার রাত সোয়া ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে ভৈরবে ৩৬ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো।
করোনা প্রতিরোধ কমিটি সূত্র জানায়, ভৈরবে এখন পর্যন্ত ৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ ৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ভৈরবে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ১০ এপ্রিল। ব্যক্তিটি ছিলেন ভৈরব থানার একজন উপপরিদর্শক। দ্বিতীয় ব্যক্তিটিও পুলিশের সদস্য। তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন ওষুধের দোকানদার।
পুলিশের প্রথম সদস্য আক্রান্ত হওয়ার পর ভৈরব অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থানার সব সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় পাঁচজন চিকিৎসককেও। পরে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনস থেকে পুলিশের ৪০ জন সদস্য এনে থানার কার্যক্রম সচল রাখা হয়। তবে ওই দিনের পর থেকে থানার কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডকে। এরপর ভৈরবে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা পুরো স্থবির হয়ে পড়ে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, আজকের ফলাফলের পর বর্তমান সেটআপ দিয়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা সচল রাখা কঠিন হবে। চিত্র দেখে মনে হচ্ছে দিন দিন ভৈরব অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।