কিছুদিন বিরতির পর কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ফের করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। আজ শুক্রবার একই পরিবারের সাতজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত বুধবার চারজন আক্রান্ত হয়। এ নিয়ে উপজেলাটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৯।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, নতুন আক্রান্ত পরিবারটির বাড়ি পৌর শহরে। পরিবারে স্বামী, স্ত্রী, কাজের মেয়ে ও সন্তানেরা আক্রান্ত হয়েছেন। পেশার প্রয়োজনে ওই ব্যবসায়ী মাঝেমধ্যে বাজারে যেতেন। ৮ মে তাঁর জ্বর আসে, সঙ্গে কাশি। দুই দিন পর স্ত্রীরও জ্বর আসে। এতে সন্দেহ হওয়ায় পরিবারের সবার নমুনা পরীক্ষা করা হয় এবং সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগ গিয়ে পরিবারটিসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে। আক্রান্তদের মধ্যে ওই ব্যবসায়ী ও তাঁর স্ত্রীকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
বুধবার আক্রান্ত চারজনের মধ্যে রয়েছেন দুজন ওষুধ ব্যবসায়ী ও দুজন সবজি বিক্রেতা। ওই ঘটনায় ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার সবজির বাজারটি অবরুদ্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে অবরুদ্ধ করা হয় বাজার এলাকার কলাপট্টি সড়কটিও।
একই সূত্র জানায়, ৫৯ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৫৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৩ জন। ১০ দিন ধরে সংক্রমণ কমে আসছিল। লোকজন নমুনা দিতেও আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। এই অবস্থায় প্রতিরোধ কমিটি সব ফার্মেসি এবং মুদিদোকানে কর্মরতদের নমুনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কথা ছিল প্রতিদিন ফার্মেসিতে কর্মরত ১০ জনের এবং মুদিদোকানের ১০ জনের নমুনা নেওয়া হবে। উদ্যোগটি সফল করতে ফার্মেসি ব্যবসায়ী নেতারা এর সমন্বয় করবেন। ৪ দিন আগ থেকে উদ্যোগটি চালু হলেও এখন পর্যন্ত ফার্মেসির মাত্র ১৬ জনের নমুনা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। মুদিদোকানির কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় গত সোমবার থেকে বিপণিবিতানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে ভৈরবের পরিস্থিতি ফের নাজুক পর্যায়ে যেতে থাকলে বুধবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ভয়ের বিষয় হলো কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে। এই মুহূর্তে শক্তভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে না পারলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।