কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অ্যাসিডে মা ও মেয়ে দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাতটার দিকে উপজেলার গোলাপনগর গ্রামে এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে পুলিশ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের বেবি খাতুন (৬৫) ও তাঁর মেয়ে মিনা খাতুন (৩০)। বর্তমানে তাঁরা দুজন আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ, হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্র জানায়, দুই বছর আগে ভেড়ামারা উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে রিন্টু আলীর সঙ্গে মিনা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁদের বনিবনা না হওয়ায় এক বছর আগে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে রিন্টু বিভিন্ন সময় মিনাকে উত্যক্ত করতেন। গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর রিন্টু আলী সাবেক স্ত্রী মিনাকে জোর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মিনার মা বেবি খাতুন বাধা দিলে রিন্টু তরলজাতীয় কিছু তাঁদের দিকে ছুড়ে মারেন। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটি এসে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাবিত বিন হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, রাসায়নিকজাতীয় দাহ্য পর্দাথ ছোড়ায় দুই নারী আহত হয়েছেন। মিনার শরীরের পিঠ, বুক ও হাত পুড়ে গেছে। বেবির এক হাতের কিছু অংশ পুড়েছে। তবে দুজনই আশঙ্কামুক্ত। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জালাল প্রথম আলোকে বলেন, মিনা খাতুনের চাচাতো ভাই বাবর আলী বাদী হয়ে অ্যাসিড আইনে থানায় মামলা করেছেন। আসামি রিন্টু আলী পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।