পোকায় ধরা হলুদ ও মরিচ গুঁড়া করে তাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশিয়ে বাজারজাত করছিলেন দুই ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এই অবৈধ ব্যবসা। অবশেষে র্যাবের সহায়তায় অবৈধ ওই ব্যবসা বন্ধ করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে।
বুধবার চৌমুহনীতে অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান কবির। তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ভেজাল হলুদ ও মরিচের গুঁড়া বিক্রির অপরাধে দুটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত মেসার্স রনি এন্টারপ্রাইজে গিয়ে পোকায় ধরা হলুদ ও মরিচের গুঁড়ায় ক্ষতিকর রং মেশাতে দেখেন। পরে আদালত মেসার্স রমণী স্টোরে গিয়ে একইভাবে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া তৈরি করতে দেখেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ওই অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুরুতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান চৌমুহনী বাজারের মেসার্স রনি এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালান। এ সময় তিনি সেখানে পোকায় ধরা হলুদ ও মরিচের গুঁড়ায় ক্ষতিকর রং মেশাতে দেখেন। পরে তিনি বাজারের মেসার্স রমণী স্টোর নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানেও গিয়ে একইভাবে হলুদ ও মরিচের গুঁড়া বানাতে দেখেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রনি এন্টারপ্রাইজের মালিক সাদ্দাম হোসেন ও রমণী স্টোরের মালিক মো. জুয়েলকে ৫০ হাজার করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে তাঁরা এ ধরনের অনৈতিক ব্যবসা না করেন, সে বিষয়ে তাঁদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অভিযান চালাতে সহায়তা করেন র্যাব-১১-এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান কবির প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিষ্ঠান দুটি নিম্নমানের পোকায় ধরা হলুদ ও মরিচ গুঁড়া করে তাতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং মিশিয়ে বাজারজাত করছিল। তাই তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।