খুলনায় ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় করা মামলায় সোমবার ভোরে পাইকগাছা থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে।
রোববার রাতে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মাছ ব্যবসায়ী মো. মিজানুর রহমান মাছ বিক্রির জন্য ওই কিশোরীর বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া–আসা করতেন। দীর্ঘদিন মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সুবাদে ওই পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। কিশোরীকে ভালো পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন মিজানুর। ৩ মার্চ পাত্র দেখতে কিশোরী ও তাঁর মা মিজানুরের আহ্বানে তাঁর বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর মিজানুর কিশোরী ও তাঁর মাকে শরবত খেতে দেন। শরবত খাওয়ার পর কিশোরীর মা অচেতন হয়ে পড়েন। পরে কিশোরীকে কয়রা থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন মিজানুর। এদিকে এক ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে কিশোরীর মা আশপাশে কাউকে দেখতে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরদিন মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এজাজ শফী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আর ওই ছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে পাঠানো হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।