ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক পুলিশসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
ভাঙ্গার মানিকদহ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে রোববার সকাল পৌনে ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আটটি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের কয়েক শ লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এই সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মানিকদহ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ওসমান মাতুব্বরের সঙ্গে একই গ্রামের শাজাহান মাতুব্বরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে সংঘর্ষে শাজাহান মাতুব্বরের পক্ষের একজন নিহত হন। ওই মামলায় ওসমান মাতুব্বর এখনো কারাগারে। এখনো এলাকায় দুটি পক্ষ সক্রিয়। পাশাপাশি জমি নিয়ে ওসমান মাতুব্বরের পক্ষের জুয়েল মাতুব্বরের সঙ্গে শাজাহান মাতুব্বরের পক্ষের আলমগীর মাতুব্বরের বিরোধ চলছে। জুয়েল ও আলমগীর সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
রোববার সকালে জুয়েলের পক্ষের শাখাওয়াত মাতুব্বরের সঙ্গে আলমগীর মাতুব্বরের জমি নিয়ে তর্ক ও হাতাহাতি হয়। এরপর দফায় দফায় দুই পক্ষের কয়েক শ লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হন। পুলিশ এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। সংঘর্ষে এক পুলিশসহ ১৫ জন আহত হন।
গুরুতর আহত নয়জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের মোশারফ সরদার (৪২), সেলিম শেখ (৫২), শাখাওয়াত মাতুব্বর (৪২), জনি মিয়া (৩৭), শাজাহান মাতুব্বর (৫৭), মোস্তফা শেখ (৫০), জলিল শেখ (৩৭), গিয়াস মাতুব্বর (৫৫) ও সোহাগ মাতুব্বর (২৫)। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন ভাঙ্গা থানার পুলিশ কনস্টেবল সজীব মাতুব্বর (২৬)। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভাঙ্গা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিমা করিম চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে পূর্বশত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।