ভাইয়ের দুই বন্ধু মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এবার ভাইয়ের বন্ধুদের হাতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। রোববার থানায় মামলা করেন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর মা। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আলমগীর হোসেন (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গতকাল সোমবার অভিযুক্ত আলমগীর নোয়াখালী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সাইদীন নাহি তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সামাদ আসামির জবানবন্দি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আলমগীর ও তাঁর সহযোগী মো. রাসেল (২৮) মিলে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। পরে আদালত আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে ৯ এপ্রিল রাতে এক স্বামী পরিত্যক্তা নারী গণধর্ষণের শিকার হন। ওই ঘটনায় পুলিশ আমিনুল ইসলাম (৩৭) ও নিজাম উদ্দিন (৩৯) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শনিবার রাত নয়টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে শৌচাগারে যায় ওই ছাত্রী। এ সময় ওত পেতে থাকা আলমগীর ও রাসেল তাকে মুখ চেপে ধরে বাড়ির পেছনে ধানখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ছাত্রীকে ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ছাত্রীর মা জানান, এ ঘটনায় রোববার রাতে আলমগীর ও রাসেলকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা করেন। আলমগীরের সঙ্গে তাঁর ছেলের বন্ধুত্ব রয়েছে। সেই সুবাদে মাঝেমধ্যে আলমগীর তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ প্রথম আলোকে বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েই তাঁরা তার চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। রোববার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ছাড়া রোববার রাতে অভিযুক্ত প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।