ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বড় ভাইকে ফাঁসানোর উদ্দেশে শিশুকন্যাকে লুকিয়ে রেখে অপহরণের মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে বুধবার তার খালুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা, চাচাসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন শিমরাইল গ্রামের মাইনুল হক (৪০) ও টেনু মিয়া (২৭)। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন টোকন মিয়া (২৫) ও মাইনুলের স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০)।
মাইনুলের বড় ভাই আবুল খায়ের বলেন, তাঁর অর্থসম্পদ আত্মসাৎ করতে তিন ভাই ষড়যন্ত্র করে মাইনুলের মেয়েকে লুকিয়ে রেখেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। এখন সব ফাঁস হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, শিমরাইল গ্রামের আবুল খায়েরের (৪৫) সন্তান নেই। তাঁর সঙ্গে বাকি তিন ভাই মাইনুল, টেনু ও টোকনের সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে তাঁর অর্থসম্পদ গ্রাস করার ষড়যন্ত্র করেন ওই তিনজন। এর অংশ হিসেবে তাঁরা মাইনুলের মেয়ে খাদিজা খাতুনকে (৭) গত শনিবার গুম করেন। তাঁরা খাদিজাকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জে মাইনুলের ভায়রা কামালের বাসায় পাঠান। এরপর তাঁরা মাইকিং করে খাদিজার নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করেন। পরে মাইনুল থানায় আবুল খায়ের ও তাঁর স্ত্রী শাহিনুর আক্তারকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ রহস্য উদ্ঘাটন করে। মঙ্গলবার রাতে কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশাদুল ইসলাম পূর্বধলার শ্যামগঞ্জে যান। সেখানকার থানা-পুলিশের সহযোগিতায় তিনি বুধবার ভোরে কামালের বাড়ি থেকে খাদিজাকে উদ্ধার করেন। পুলিশ সকালে শিমরাইল গ্রাম থেকে মাইনুল ও টেনুকে আটক করে। এ ঘটনায় শাহিনুর আক্তার দুপুরে মাইনুল, টেনু, টোকন ও নাজমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। আটক হওয়া দুজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানতে চাইলে পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশাদুল ইসলাম বলেন, খাদিজাকে তার খালুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, মিথ্যা অপহরণের মামলা দেওয়ায় খাদিজার মা–বাবা ও দুই চাচার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।