জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

ভর্তি পরীক্ষা শুরু, পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সামনে
প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সম্মান প্রথম বর্ষ ২০২১–এর ভর্তি পরীক্ষা আজ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে। সকাল নয়টায় ‘ডি’ ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রথম পালার পরীক্ষা শুরু হয়। তবে ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম।

৭ নভেম্বর থেকে এই ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশব্যাপী পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তা শেষ মুহূর্তে এসে পেছানো হয়। ফলে ৭ নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পিছিয়ে ২০ নভেম্বর ও ৮ নভেম্বরের পরীক্ষা ২১ নভেম্বরে নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ডি ইউনিটের ৭টি বিভাগে ছেলেদের ১৬০ ও মেয়েদের ১৬০টি আসন রয়েছে। মোট ৩২০টি আসনের বিপরীতে এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ৬৯ হাজার ১২৯ জনের। তবে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩টি পালায় ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

কয়েক ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল দেওয়া। মেডিকেল কলেজে ভর্তির কারণে শিক্ষার্থীরা আর এখানে পরীক্ষা দিতে আসেননি। এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বছর ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে থাকতে দিচ্ছে না। ফলে আবাসন অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় ভর্তি-ইচ্ছুকেরা আসেননি।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, অন্যান্যবারের চেয়ে এবার উপস্থিতি কমই মনে হচ্ছে। গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও বুয়েটে ভর্তি হওয়ার জন্য অনেক পরীক্ষার্থী দিতে আসেননি বলে মনে হয়।

অন্যদিকে পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন মত। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ৩টি পালায় পরীক্ষায় প্রায় ২০ হাজার ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এসব ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্তত ২৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই প্রতিবেদক। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন প্রথম পালায় পরীক্ষা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জন বলেন, প্রশ্নপত্রের মান সন্তোষজনক। বাকি ১০ জন পরীক্ষার তৃতীয় পালায় অংশ নিয়েছেন। তাঁদের সবার দাবি, প্রশ্ন কঠিন হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর মোট ৯টি ইউনিটের জন্য পৃথকভাবে ফরম পূরণ করেছেন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। ৩৬টি বিভাগ ও ৪টি ইনস্টিটিউটের ১ হাজার ৮৮৯টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৩ লাখ ৭ হাজার ৯৭৮ শিক্ষার্থীর। সে হিসাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন ১৬৩ জন।