রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাটবন গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গুলিতে নিহত হন গোপাল বিশ্বাস। তাঁকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন শ্যালক বিজন সরকার। রোববার বিকেলে রাজবাড়ীর ২ নম্বর আমলি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন তিনি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পাংশা থানার পুলিশ।
গুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম গোপাল বিশ্বাস। তিনি কলিমোহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামের বাদল বিশ্বাসের ছেলে। গোপাল কৃষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাটবন গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে গত বৃহস্পতিবার গোপাল বিশ্বাসকে গুলি করা হয়। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শনিবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত গোপালের ভাই পরিমল বিশ্বাস বাদী হয়ে শনিবার রাত সাড়ে আটটায় পাংশা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে গোপালের স্ত্রী চায়না সরকার ও শ্যালক বিজন সরকার গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভাই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন পরিমল।
পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কুতুব আহমেদ বলেন, গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বুকের বাঁ দিকে গুলি লেগেছিল।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, মামলার আসামি বিজন সরকার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিজন ও তাঁর বোন চায়নাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।