ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সহিংসতার ঘটনায় এবার সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এম এম নাজমুল আহমেদকে বদলি করা হয়েছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এক আদেশে ওসি এ এম এম নাজমুল আহমেদকে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মইনুর রহমান চৌধুরী এতে সই করেছেন।
এ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় গত ১৫ দিনে ৩ ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বদলি হয়েছে। তবে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সরাইল থানায় নতুন কোনো ওসি যোগ দেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সরাইল থানার ওসিকে বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। নতুন একজন ওসির যোগদানের আগপর্যন্ত সরাইলে এ এম এম নাজমুল আহমেদই দায়িত্ব পালন করবেন। তবে খুব শিগগিরই একজন ওসি এখানে যোগ দেবেন।’
এর আগে হেফাজতের সহিংস ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের পৃথক আদেশে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জের রিজার্ভ ফোর্সে, সদর থানার ওসি মো. আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে ও বিশ্বরোড মোড় খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি গাজী শাখাওয়াৎ হোসেনকে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ কয়েক হাজার হেফাজতের নেতা–কর্মী ও সমর্থক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে লাঠিসোঁটা নিয়ে সরাইলের অরুয়াইল বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে অরুয়াইল আবদুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাঁরা সমাবেশ করেন। সমাবেশ চলাকালে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালান হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা। এতে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কবীর হোসেনসহ অন্তত ২০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ২৮ মার্চ থেকে অরুয়াইল পুলিশ ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজল চন্দ্র মজুমদার বাদী হয়ে গত ৩১ মার্চ রাতে ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে সরাইল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ জনকে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় উপজেলা খেলাফত মজলিসের নেতা আমির আবু তাহেরসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।