ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসাছাত্রদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার সময় মো. আশিক (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। তবে কীভাবে বা কার হামলায় আহত হয়ে ওই তরুণ মারা গেছেন, তা নিশ্চিত করতে পারেনি কেউ। নিহত আশিক জেলা শহরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে জেলা শহরের কাউতলী এলাকায় আশিক নামের ওই তরুণকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে মাদ্রাসাছাত্ররা সন্ধ্যার সাড়ে ছয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরনে একটি জিনসের প্যান্ট ও লাল রঙের গেঞ্জি ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শওকত হোসেন ও জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যায় মো. আশিক (২০) নামের এক তরুণকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু। তাঁর লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখার জন্য বললে মাদ্রাসার ছাত্ররা তাঁর লাশ নিয়ে চলে যান। নিহতের পেটের ডান পাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ডিআইও-১) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দাতিয়ারা এলাকার আশিক নামের এক তরুণ মারা গেছেন বলে শুনেছেন। কিন্তু কীভাবে তিনি মারা গেছেন, তা জানেন না। তাঁর লাশ কোথায় আছে, সেই তথ্যও পুলিশের কাছে নেই।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে মাদ্রাসাছাত্ররা ও তাঁদের সঙ্গে থাকা বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের গ্যারেজ, জেলার অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ সুপারের গাড়ি, সিভিল সার্জন কার্যালয়, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট কার্যালয়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয়ে নিচতলা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশের একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে থাকা সাত থেকে আটটি গাড়ি ও দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়।