ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পাওনা টাকার জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মৈন্দ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে জীবন মিয়া নামের একজনের দুই হাত ভেঙে যাওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের কাসেম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়াকে ৪০০ টাকা ধার দেন একই এলাকার মনসুর আলী। গতকাল রোববার রাত নয়টার দিকে মৈন্দ বাজারে শাহজাহান মিয়ার চায়ের দোকানে সুমনের সঙ্গে দেখা হলে মনসুর তাঁর পাওনা টাকা চান। এ সময় সুমন টাকা দেবেন না জানালে উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় বাজারে থাকা স্থানীয় মুরব্বিরা এগিয়ে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
মনসুর আলী বলেন, গ্রামের বয়োজেষ্ঠ্যরা বিষয়টি মীমাংসা করে সুমনকে পাওনা টাকা দিতে বলেছেন। পরে তিনি বাজার থেকে বাড়িতে ঢুকতেই রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুমনের বাড়ির লোকজন আকস্মিকভাবে তাঁর বাড়িতে ছুরি, দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।
এ সময় মনসুরের বাড়ির লোকজনও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
অভিযোগের বিষয়ে সুমন মিয়া বলেন, পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে মনসুর আজেবাজে কথা শুনিয়ে এখনই টাকা দিতে বলছিল। এ মুহূর্তে হাতে টাকা নেই বললে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে। এ নিয়ে পরে কথা–কাটাকাটি হয়েছে।
জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।