রাত তখন ১০টার মতো বাজে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নিরাপত্তা প্রহরী হাঁটছিলেন আইন অনুষদের রাস্তা ধরে। এটি তাঁদের নিত্যদিনের কাজ। যেতে যেতে হঠাৎ থমকে দাঁড়ালেন তাঁরা। বোমাসদৃশ বস্তু দেখে মুহূর্তেই আতঙ্কিত দুজন। খবর দিলেন প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যদের। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বোমার এই খবর ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পাসজুড়ে। শিক্ষার্থীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে হাজির হয় চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট। তখন আশপাশে শিক্ষার্থীদের ভিড়। কি-না কী হয়, তা নিয়ে সংশয়। নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করলেন সেটি। তখন উত্তেজনা ও আশঙ্কার অবসান হলো। কারণ যা উদ্ধার হলো তা বোমা নয়, কালো টেপে মোড়ানো বেগুন।
এ বিষয়ে আইন অনুষদের ডিন এ বি এম আবু নোমান প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে ‘মক ট্রায়াল টুর্নামেন্টের’ আয়োজন করা করা হয়েছিল। সেখানে প্রতিযোগীরা এই ধরনের বস্তু নিয়ে আসেন। সেটা নিছকই প্রতিযোগিতার অংশ ছিল।
চট্টগ্রাম কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, কালো টেপে মোড়ানো বেগুনটি দেখতে অনেকটা বোমার মতো। এর সঙ্গে চারটি তার লাগানো ছিল।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এটি বোমা ছিল না।