সৌদি আরবে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেলে গত বছর ছুটি নিয়ে দেশে আসেন প্রবাসী মো. শাহাবুদ্দিন (৩৬)। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তাঁর আর প্রবাসে ফেরা হয়নি। সীমান্তবর্তী গ্রামে বাড়ি হওয়ায় বাল্যবন্ধুর প্ররোচনায় দ্বিগুণ-তিন গুণ লাভের আশায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া উত্তরপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে এমন তথ্য দিয়েছেন বলে আজ সোমবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাহাবুদ্দিন আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের খারকোট গ্রামের বাসিন্দা। সংসারের অভাব ঘোচাতে ২০০৮ সালে সৌদি আরবে পাড়ি দেন তিনি। কায়িক পরিশ্রমের আয়ে ধীরে ধীরে আর্থিক অভাব সামলে নেন। ২০১৬ সালে বিয়ে করে যৌথ পরিবার থেকে আলাদা হয়ে নতুন সংসারজীবন করেন শাহবুদ্দিন।
২০১৭ সালে ছেলেসন্তানের বাবা হন তিনি। গত বছর করোনা পরিস্থিতি খারাপ হলে দেশে আসেন তিনি, এরপর আর যাননি। বাল্যবন্ধুর পরামর্শে শুরু করেন মাদক ব্যবসা। সীমান্তের ওপার থেকে কম দামে গাঁজা কিনে ঢাকা ও বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে দ্বিগুণ-তিন গুণ লাভে বিক্রি করা শুরু করেন। গতকাল সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে সীমান্ত এলাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ১০ কেজি গাঁজা নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার মোগড়া উত্তরপাড়া এলাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় অটোরিকশাচালক জালাল ভূঁইয়াকেও (৩৫) আটক করা হয়।
পুলিশের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহাবুদ্দিন বলেছেন, সীমান্ত এলাকার কিছু কিছু লোক মাদক ব্যবসাকে অন্য আর দশটা সাধারণ ব্যবসার মতোই মনে করেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উপপরিদর্শক এরশাদ মিয়া ও সহকারী উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহাবুদ্দিন একসময় প্রবাসে থাকলেও এখন মাদক ব্যবসায়ী।