বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি যাবে বর। বিয়ে করে নতুন বউ নিয়ে ফিরবে বাড়ি। সব সময় এমনটাই হয়। কিন্তু মেহেরপুরের গাংনীতে ঘটল এর উল্টোটি। সঙ্গী–স্বজন নিয়ে বরের বাড়ি হাজির হয়েছিলেন কনে। বিয়ের পর নতুন বরকে নিয়ে ফিরলেন বাড়ি।
কনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হাজরাহাটি গ্রামের কামরুজ্জামানের মেয়ে খাদিজা আকতার। আর বর তরিকুল ইসলামের বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীর পৌর শহরে। তরিকুল ব্যবসা করেন। খাদিজা এবার এইচএসসি পাস করেছেন। গতকাল শনিবার বিয়ে হয়েছে তাঁদের।
দুপুরে ছয়টি প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে স্বজনদের নিয়ে বরের বাড়ি পৌঁছান খাদিজা। এরপর বিয়ে শেষে হয় খাওয়াদাওয়া। সন্ধ্যার দিকে বর নিয়ে বাড়ি ফেরেন খাদিজা।
খাদিজার বাবা কামরুজ্জামান বলেন, ‘মেয়ের আবদারেই বিয়ের আয়োজনটা এভাবে করা হয়েছে। যদিও প্রথম দিকে আমার আপত্তি ছিল।’
আর বর তরিকুলের বাবা আবদুল মাবুদ বলেন, ‘পুরুষশাসিত সমাজে অনেক রীতি চালু আছে, যা ভেঙে ফেলা উচিত। এতে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর হবে। তা ছাড়া, বিয়েবাড়িতে কনেপক্ষের একটা বিশাল খরচ হয়। এই বিয়েতে সেটা হলো না।’
নিজেদের চাওয়া পূরণ হওয়ায় বর–কনেও খুশি। খাদিজা আকতার বলেন, পুরুষশাসিত সমাজে বিয়েতে কনেপক্ষকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। সমাজকে তা দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই এই ব্যতিক্রমী বিয়ের পরিকল্পনা করেন তাঁরা।
বর তরিকুল ইসলাম মনে করেন, তাঁদের এই বিয়ের মাধ্যমে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। তাঁরা চেয়েছেন বিয়ের একটি নতুন ধারা তৈরি করতে। এতে সমাজে নারী-পুরুষের বৈষম্য একটু হলেও কমবে।