ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সিঁড়িতে অনশনে বসেন এক নারী। আজ শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী। সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে অনশনরত ওই নারীকে মেনে নিতে বাধ্য হন প্রেমিক ও তাঁর পরিবার। পরে বিয়ের আয়োজন করা হয়। ঘটনাটি উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদী গ্রামের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের জগন্নাথদী গ্রামের ছেলে ও কালীনগর বাজারের এক কাপড় ব্যবসায়ীর (২৮) সঙ্গে পাশের গোপীনাথপুর গ্রামের এক নারীর (২০) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা এক বছর প্রেম করেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে শুরু করেন স্বজনেরা। খবর পেয়ে বিয়ের দাবিতে শুক্রবার সকাল থেকে ছেলের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই নারী।
অনশন করা ওই নারী প্রথম আলোকে বলেন, ওই কাপড় ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর বছরখানেক ধরে প্রেমের সম্পর্ক। ছেলের পরিবার তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি আগে থেকেই জানত। তিনি জানান, আগে অন্য এক জায়গায় বিয়ে হয়েছিল তাঁর (নারী)। বিয়ের প্রলোভনে ১৫ দিন আগে আদালতের মাধ্যমে তিনি সেই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন। সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করার পর থেকেই বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন ছেলে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১২ ঘণ্টা টানা অনশন করার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে স্থানীয় মাতুব্বররা ওই ছেলের সঙ্গে অনশন করা নারীর বিয়ের আয়োজন করেন।
সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথদী গ্রামের বাসিন্দা ও রূপপাত উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. কাইয়ূম মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী সকাল থেকেই বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কথা বলে জানতে পারেন, তাঁর সঙ্গে ছেলের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। ওই নারী এ-সংক্রান্ত বেশ কিছু কাগজপত্র তাঁদের দেখান। স্থানীয় মাতুব্বররা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্ধ্যায় মেয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। রাতেই তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হবে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, এমন কোনো খবর এখনো তাঁরা জানতে পারেননি। তবে খোঁজখবর নেবেন বলে জানান তিনি।