বিলের জমিতে হাঁসের ঝাঁক

খেতে পড়ে থাকা ধান খেতে এসেছে হাঁসের ঝাঁক। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রহিমানপুর বিলে। প্রথম আলো
খেতে পড়ে থাকা ধান খেতে এসেছে হাঁসের ঝাঁক। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ের রহিমানপুর বিলে।  প্রথম আলো

বিলের অল্প কিছু খেতের ধান কাটা বাকি। বেশির ভাগ জমির ধান কাটা শেষ। ফাঁকা জমিতে পড়ে আছে ধান, ধানের শিষ। এই ধান খাওয়ার লোভে জমিগুলোয় এখন চড়ে বেড়াচ্ছে হাঁসের ঝাঁক। এই চিত্র ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর বিলের।

স্থানীয় লোকজন জানান, ধান কাটার মৌসুমে আশপাশের এলাকার খামারিরা পাতিহাঁসের দল নিয়ে এসে আস্তানা গাড়েন রহিমানপুর বিলে। বিলের খেতগুলোয় এ সময় অনেক ধান পড়ে থাকে। এ বিলে প্রচুর শামুক ও ঝিনুকও পাওয়া যায়। হাঁসের দল সারা দিনমান বিলে চড়ে বেড়ায় আর খেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ধান, শামুক, ঝিনুক, পোকামাকড় খায়। বিকেলের শেষে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনা হয় আশ্রয়ে। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন থাকার পর খামারিরা হাঁস নিয়ে খামারে ফিরে যান।

সম্প্রতি ওই বিলে গিয়ে দেখা যায়, খেতে খাবার খুঁজতে ব্যস্ত হাঁসের দল। প্যাঁক প্যাঁক শব্দ করে চড়ে বেড়াচ্ছে সেগুলো। কিছু হাঁস ঝাঁক বেঁধে বিলের পানিতে ভেসে বেড়াচ্ছে। পাশে থেকে খামারিরা হাঁসের দেখভাল করছেন।

কথা হয় হারিস উদ্দিন নামের একজনের সঙ্গে। তিনি দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ এলাকা থেকে ১ হাজার ২০০টি হাঁস এনে বিলে চড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ধান হাঁসের প্রিয় খাদ্য। ধান খেলে হাঁসের শারীরিক গঠন ভালো হয়। ধান কিনে খাওয়ালে হাঁসের পেছনে যে খরচ হতো, এখানে আনায় তা বেঁচে যাচ্ছে। ফলে তাঁদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ধান-চাল শর্করার মূল উৎস। তাই খামারিরা ধান কাটার মৌসুমে বিলে হাঁস এনে ছেড়ে দেন। এতে হাঁস স্বাধীনভাবে চড়ে পছন্দের খাবার খায়। এতে খামারিদের খাবারের খরচও সাশ্রয় হয়।