আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনে জামালপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম আলী আহমেদকে অপসারণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জেলা আইনজীবী সমিতি। গত মঙ্গলবার থেকে আদালত বর্জন অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতি এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিচারক এম আলী আহমেদের বিচার কার্যে স্বেচ্ছাচারিতা, আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, অসৌজন্যমূলক ও অবিচারকসুলভ আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরি সভায় তাঁর আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই বিচারককে অপসারণ না করা পর্যন্ত আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির অভিযোগ, বিচারক এম আলী আহমেদ গত মঙ্গলবার আদালতে বিচার চলাকালীন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সব আইনজীবী ওই আদালত বর্জন করে সমিতির কার্যালয়ে চলে যান। পরে জেলা আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই বিচারককে অপসারণ না করা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ বলেন, ওই বিচারক (এম আলী আহমেদ) এ জেলায় যোগদানের পর থেকেই বিচারকার্যে স্বেচ্ছাচারিতা, আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ অবিচারকসুলভ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। গত মঙ্গলবার আদালতে বিচার চলার সময় যুক্তিসংগত কোনো কারণ ছাড়াই ওই বিচারক আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এতে সব আইনজীবী ক্ষুব্ধ হন। আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারকের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।
অভিযোগের বিষয়ে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম আলী আহমেদ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ধর্ষণ মামলার আসামি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও আবদুর রাজ্জাক তাঁর জামিন চান। আমি তাঁদের দুজনের মধ্যে “প্রকৃত আইনজীবী কে?” এমন প্রশ্ন করি এবং ওই আসামির জামিন নামঞ্জুর করি। আসামিকে জামিন না দেওয়ার কারণেই হয়তো আইনজীবীরা এমন অভিযোগ আনতে পারেন।’