বিএম কনটেইনার ডিপোতে সিআইডির রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দলের নমুনা সংগ্রহ

বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন থেকে বিস্ফোরণ হয়
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় রাসায়নিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিএম কনটেইনার ডিপো পরিদর্শন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (কেমিক্যাল) নাজমুল করিম খানের নেতৃত্বে দলটি গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার ডিপো এলাকা পরিদর্শন করে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে।

সিআইডি চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দলটি কারখানা এলাকা থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছে। এর আগেও তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন। সব নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেলে বোঝা যাবে, সেখানে থাকা কেমিক্যালগুলো এক, নাকি ভিন্ন। ভিন্ন রাসায়নিক থাকলে জানা যাবে নাম-পরিচয়।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিকও বিভিন্ন নমুনাও আলামত হিসেবে সংগ্রহ করেছেন। সিআইডির জব্দ করা ডিভিআর মেশিন ও একটি সার্ভার মামলার আলামত হিসেবে জব্দ দেখিয়েছেন তিনি।

সুমন বণিক প্রথম আলোকে বলেন, পোড়া ছাই থেকে শুরু করে কারখানায় দেওয়া পানি পর্যন্ত সব ধরনের নমুনা আলামত হিসেবে সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা মূলত অগ্নিকাণ্ডের কারণ খুঁজছেন। কীভাবে ঘটনার শুরু, তা জানার চেষ্টা করছেন। এটি দুর্ঘটনা, নাকি নাশকতা, সেটিসহ সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে তাঁরা কাজ করছেন। পুরো ঘটনার তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।

ওই এলাকা থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো তদন্ত দল নমুনা সংগ্রহ করছেন বলে জানান ডিপোর ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইব্রাহিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যে স্থানে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানকার ২০টি কনটেইনার বাদে বাকি সব ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনার সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখেছে।

ওই এলাকা ছাড়া বাকি এলাকার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে জানিয়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আশা করা যাচ্ছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা ডিপোর কার্যক্রম পুরোদমে চালু করতে পারবেন।

জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিস্ফোরণস্থল থেকে যেহেতু বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার আলামত প্রয়োজন হবে, তাই সেগুলো সরাতে নিষেধ করেছেন তাঁরা।