কৃষিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি ২০১৪ সালের মতো দেশে আবার অরাজকতা ও অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা মনে করছে, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে, বোমাবাজি করে, রেললাইন তুলে, গাড়িতে আগুন দিয়ে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে আবারও ক্ষমতায় আসবে। এ দেশের জনগণ কোনোভাবেই তাদের এই অপচেষ্টা মেনে নেবে না।
আজ শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আন্দোলনে হাওয়া দিতে পারছে না, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। ২০১৫ সাল থেকে তারা এক দিনও হরতাল দিতে পারেনি। বাংলাদেশে আর কোনো দিন হরতাল হবে না। আন্দোলনের নামে গাড়িতে আগুন দিলে তাদের চরম মূল্য দিতে হবে। ন্যায়ের পথে, শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে তাদের আন্দোলন করতে হবে। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে বর্তমান নির্বাচিত সরকার জনগণের জানমাল রক্ষায় কঠোর ভূমিকা পালন করবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি সব সময়ই বাঁকা পথে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের সমর্থন ছাড়া কখনো ক্ষমতায় আসেনি। কাজেই আগামী দিনে বাংলাদেশে ষড়যন্ত্র করে কাউকে নির্বাচন বানচাল করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে। জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। জনগণ, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক বিশ্বের চাপ এবং বিএনপি যখন বুঝতে পারবে তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই, তখন তারা অবশ্যই নির্বাচনে আসবে বলে তিনি আশাবাদী।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মোটা চালের দাম স্থিতিশীল আছে, সরু চালের দাম এখন কিছুটা বেশি। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক বেড়েছে। এ অবস্থায় তেলের দাম কিছুটা না বাড়ালে কেউ আমদানি করবেন না। তবে সরকার কঠোরভাবে বাজার তদারকি করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভোজ্যতেল আনার চেষ্টা করছে। মনে রাখতে হবে, গত দুই বছর করোনাকালে উন্নত বিশ্বের কৃষকেরা আবাদ করেননি, মাঠে নামেননি, শ্রমিকেরা খনিতে নামেননি। আবার ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবও আছে।
শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাংসদ মির্জা আজম, সদস্য এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংসদ জোয়াহেরুল ইসলাম। বিশেষ বক্তা ছিলেন সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু ও সাংসদ তাভীর হাসান। দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন।