মহামান্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সংলাপের আয়োজন করেছেন। সেই সংলাপে অনেক রাজনৈতিক দল গেছে। বিএনপি যায়নি। কারণ, বিএনপিকে ‘না’ রোগে পেয়ে বসেছে। সবকিছুতেই না করে। বিএনপি ‘না’ রোগে আক্রান্ত।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সংলাপে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বলেছে, নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য একটা আইন করা হোক। বিএনপির নেতারাও বিভিন্ন সভা-সমিতিতে এ আইন করার দাবি জানিয়েছেন। যেই আইন করার উদ্যোগ নেওয়া হলো, তখন তারা আবার উল্টো সুরে কথা বলা শুরু করল।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে দেশের সমগ্র মানুষ খুশি হলেও, বিশ্ব সম্প্রদায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করলেও, বিএনপি-জামায়াত ও তাদের মিত্ররা, তারা তো খুশি নয়, বরং আতঙ্কিত। কারণটা কী? জননেত্রী শেখ হাসিনার এই সাফল্যের কারণে দেশের মানুষ খুশি, কিন্তু তারা তাদের রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত-আতঙ্কিত। এ কারণে তারা এখন ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি সারা দুনিয়ায় দেশের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং রীতিমতো লবিস্ট নিয়োগ করেছে। লবিস্ট নিয়োগ করে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য যাতে বাধাগ্রস্ত হয়, দেশের উন্নয়ন যাতে বাধাগ্রস্ত হয় এবং দেশের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন হয়, সে জন্য টাকাপয়সা খরচ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিজে সাইন করে চিঠি লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনপ্রণেতার কাছে এবং বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে চিঠি লিখেছেন বাংলাদেশকে সাহায্য না দেওয়ার জন্য, সাহায্য দেওয়াটা পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য। একটি দলের মহাসচিব কীভাবে দেশকে সাহায্য না দেওয়ার জন্য বা সাহায্য দেওয়ার ক্ষেত্রে পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য চিঠি লিখতে পারেন? তাঁরা আবার দেশ পরিচালনার জন্য স্বপ্ন দেখেন। তাঁরা আসলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী। তাঁরা দেশবিরোধী।
সভায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় হাছান মাহমুদ সিলেটে একটি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন সেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও ঘোষণা দেন।