রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সম্মেলন আগামীকাল মঙ্গলবার। এরই মধ্যে রাজশাহীর সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, সমাবেশে জনসমাগম ঠেকাতে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
সমাবেশ উপলক্ষে আজ সোমবার বিএনপির সংবাদ সম্মেলন আছে। এদিকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে এসেছিলেন, তাঁরা গন্তব্যে যেতে পারছেন না। বাস কাউন্টারগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকেই কাউন্টার থেকে ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ অটোরিকশা করে গন্তব্যে ছুটছেন।
রোববার নাটোর থেকে রাজশাহীতে এসেছিলেন আবদুল মতিন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক স্বজনকে দেখতে আসেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন। পরে জানতে পারলেন, গাড়ি চলাচল বন্ধ। আবদুল মতিন বলেন, হঠাৎ গাড়ি বন্ধ করা ঠিক হয়নি। অনেকেই রাজশাহীতে আসবেন, যাবেন। এখন তিনি কীভাবে নাটোরে ফিরবেন? এখন অটোরিকশা ধরে থেমে থেমে যেতে হবে।
রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন বলেন, বগুড়ায় তাঁদের এক শ্রমিককে মারধর করা হয়েছিল। মারধরকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, তাঁরা কর্মসূচি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘যদি বিএনপির সমাবেশ কাল (মঙ্গলবার) হয়ে থাকে, তাহলে আরও বেশি করে বাস বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, তারা জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি করে। আমাদের আগে অনেকবার জামায়াত-শিবির গাড়ি পুড়িয়েছে। তাই আমাদের গাড়ির নিরাপত্তার জন্য, জীবনের নিরাপত্তার জন্য, জনগণের নিরাপত্তার জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, সমাবেশে লোকজনের আসা ঠেকাতে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।