ফেনীর সোনাগাজীতে বাড়ির পুকুরে ধরা পড়েছে প্রায় ৮ কেজি ওজনের একটি বড় চিতল মাছ। গত বুধবার দুপুরে পৌর শহরের চর গণেশ এলাকার মো. মাসুদ রানার জালে মাছটি ধরা পড়ে। পরে মাছটির ছবি তিনি ফেসবুকে দিলে স্থানীয় মাছের আড়তদারসহ বেশ কয়েকজন মাছটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে মাছটি তিনি বিক্রি না করে বাড়ির সবাইকে নিয়ে খেয়েছেন।
মাসুদ রানা ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান করেন। তিনি বলেন, সাধারণত পুকুরে বা ছোট জলাশয়ে বড় চিতল মাছ খুব কমই পাওয়া যায়। এত বড় চিতল জীবনে এই প্রথম ধরতে পারলেন। মাছটি ধরতে পেরে তিনি খুব খুশি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফেসবুকে দেখে মাছটিকে সরাসরি দেখতে আশপাশের উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। মাছটি ওজন করার সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন মাছটি কিনতে চান। কিন্তু মাছের মালিক তা বিক্রি করতে রাজি হননি।
কয়েক বছর ধরে দুটি পুকুরে অন্য জাতের যত মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে, সব মাছ ছোট থাকতে চিতল মাছটি খেয়ে বড় হয়েছে।
মাসুদ রানা প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৬ সালে শখ করে বাড়ির দুটি পুকুরে ১০টি চিতল মাছের পোনা ছাড়েন। একে একে আটটি মাছ মরে যায়। দুটি মাছ বেঁচে থাকে। গত বছর একটি মাছ ধরা পড়ে। সেটির ওজনও তিন কেজির মতো ছিল। অপর চিতল মাছটি মাঝেমধ্যে পুকুরে ভাসতে দেখা যেত। অন্য মাছের পোনা খেয়ে ফেলায় বেশ কয়েকবার চিতল মাছটি বড়শি ও জাল দিয়ে ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক সপ্তাহ ধরে মাছটি ধরার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু তার হদিস মিলছিল না। বুধবার সকাল থেকে একটি পাম্প মেশিন দিয়ে পুকুরের পানি কিছুটা কমিয়ে নেন। এরপর ঝাঁকিজাল দিয়ে অনেক কষ্ট করে মাছটিকে ধরেছেন।
মাসুদ রানা বলেন, মাছটি যে এত বড় হবে, তিনি কল্পনাও করেননি। আজ থেকে আর মাছটির পেছনে ছুটতে হবে না—এ কথা ভেবে কষ্টও পেয়েছেন। পুকুরে কোনো ধরনের খাবার দেননি তিনি। তবে কয়েক বছর ধরে দুটি পুকুরে অন্য জাতের যত মাছের পোনা ছেড়েছেন, সব মাছ ছোট থাকতে চিতল মাছটি খেয়ে বড় হয়েছে। অন্য মাছ টিকিয়ে রাখতে মূলত চিতল মাছটি ধরে ফেলেছেন।