মানিকগঞ্জ-দৌলতপুর সড়কের দৌলতপুর উপজেলার মুলকান্দি এলাকায় আজ শুক্রবার দুপুরে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের ছয়জনই একই পরিবারের সদস্য। আরেকজন অটোরিকশাচালক।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন হরেকৃষ্ণ বাদ্যকার (৫৫), তাঁর ছেলে গোবিন্দ বাদ্যকার (২৮), গোবিন্দের স্ত্রী ববিতা বাদ্যকার (২৫), মেয়ে রাধে বাদ্যকার (৪), গোবিন্দের চাচি খুশি বাদ্যকার (৫২), চাচাতো ভাই রামপ্রসাদ বাদ্যকার (৩০) এবং অটোরিকশাচালক জামাল শেখ (৩০)। তাঁদের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা চাষাভাদ্রা গ্রামে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে অসুস্থ নাতনির চিকিৎসার জন্য স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার উদ্দেমে বের হন হরেকৃষ্ণ। তাঁরা দৌলতপুর থেকে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা ভাড়া করে মানিকগঞ্জে আসছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে ঘিওর-দৌলতপুর সড়কের দৌলতপুরের মুলকান্দি এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশাটির সঙ্গে ভিলেজ লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই সাতজন নিহত হন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, নিহতদের সবাই অটোরিকশার যাত্রী। তাঁদের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।