বাল্যবিবাহ শুনলেই ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ে বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় আদালত তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আজ সোমবার রাজশাহীর আমলি আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মাহমুদ আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


আদালত পরিদর্শক আবদুর রফিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই তিনজন হলেন রবিউল ইসলাম, হাবিল উদ্দিন ও হাসমত আলী। রবিউল ইসলামের বাড়ি বাঘা উপজেলার তেথুলিয়া গ্রামে, হাবিল উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে আর হাসমত আলীর বাড়ি উপজেলার পানিকমড়া গ্রামে।


অভিযোগ রয়েছে, কোথাও বাল্যবিবাহের খবর পেলেই তাঁরা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন।  

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সন্ধ্যায় উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ভ্যানচালক সাইফুল ইসলামের মেয়ের বিয়ে আয়োজন করা হলে এই তিন সাংবাদিক নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাঁকে বলেন, মেয়ের বাল্যবিবাহ দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা না দিলে তাঁরা পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবেন। ভয়ে সাইফুল ইসলাম তাঁদের দুই হাজার টাকা দিলে সেই টাকা তাঁরা ছুড়ে ফেলে দেন।

নিরুপায় হয়ে সাইফুল ইসলাম প্রতিবেশী আজাদ আলীর কাছ থেকে আরও তিন হাজার টাকা ধার করে এনে তাঁদের দাবি পূরণ করেন। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর জাতীয় জরুরি সেবা থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। তখন মেয়ের বাবা সাইফুল ইসলাম পুলিশকে জানান, বিয়ে দেওয়ার শর্তে তিন সাংবাদিক তাঁর কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে গেছে।

এর পরদিন সাইফুল ইসলাম কথিত তিন সাংবাদিকের নামে বাঘা থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলায় কয়েক দিন আত্মগোপনে থাকার পর বাদীকে তাঁরা টাকা ফেরত দেন এবং কোনো ঘটনা ঘটেনি মর্মে একটি লিখিত কাগজ করে নেন। এই কাগজ নিয়ে আজ তাঁরা আদালতে জামিন নিতে যান।


বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, বিয়েবাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে এই তিনজনের বিরুদ্ধে বাঘা থানায় একটি মামলা হয়েছিল। এ মামলায় তাঁরা জামিন নিতে গিয়ে আটক হয়েছেন, এমনটি শুনেছেন।