মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিয়ে গোপনে বিবাহ রেজিস্ট্রার (কাজি) আনোয়ার পারভেজ বাল্যবিবাহ পড়িয়েছিলেন। সেটি মাস দুই আগের ঘটনা। বুধবার ছিল বউভাতের অনুষ্ঠান। তখন প্রকাশ্যে চলে আসে বাল্যবিবাহের ঘটনাটি।
এ অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কাজিকে ৬ মাসের জেল ও বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নাটোরের গুরুদাসপুর পৌরসভার গাড়িষাপাড়া মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল।
আবু রাসেল বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে একই মহল্লার ভ্যানচালক সুরুজ প্রামাণিকের (২২) বিয়ে হয়। বিয়ে পড়ান কাজি আনোয়ার পারভেজ। পুলিশ ও স্থানীয় ব্যক্তিদের নজর এড়াতে কাজির বাড়িতে নিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের আনুষ্ঠানিকতার খবর পেয়ে বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে হাজির হন তিনি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে খাবার ফেলে পালিয়ে যান অতিথিরা। আটক করা হয় কাজি ও বর সুরুজকে।
তিনি আরও বলেন, জেরার মুখে বাল্যবিবাহের সত্যতা মেলে। মেয়ের জন্মনিবন্ধনের কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হন তার বাবা। জিজ্ঞাসাবাদে কাজি আনোয়ার বাল্যবিবাহের দায় স্বীকার করেন। পরে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭-এর ৯ ধারায় তাঁকে ৬ মাসের দণ্ড দেওয়া হয়। পৌরসভার ৭-৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এদিকে ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়ে তার বাবার বাড়িতে থাকবে মর্মে মুচলেকা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে রক্ষা পান বর সুরুজ প্রামাণিক।