করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় খুলনায় বাল্যবিবাহের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে উপজেলাগুলোতে ওই ঘটনা বেশি। এমন পরিস্থিতিতে বাল্যবিবাহ দিয়ে সন্তানদের অন্ধকারে ঠেলে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক।
মঙ্গলবার খুলনায় ‘বাল্যবিবাহের কারণ চিহ্নিত ও প্রতিকারে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি ওই আহ্বান জানান। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ওই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশাল’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় খুলনা জেলা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম ওই সেমিনারের আয়োজন করে।
ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি স্বীকার করেন, করোনাকালে খুলনায় বাল্যবিবাহ বেড়েছে। বিভিন্ন অজুহাতে অভিভাবকেরা সন্তানদের অন্ধকার ভবিষ্যতে ঠেলে দিচ্ছেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে না পারলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে ওই সামাজিক ব্যাধি নিরসনে কাজ করার আহ্বান জানান খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মদ, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক হাসনা হেনা। খুলনার স্থানীয় সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আমেনা সুলতানা, স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের যুগ্ম আহ্বায়ক জোবায়ের আহম্মদ খান।
এ সময় বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, আর্থসামাজিক নিরাপত্তার অজুহাতে খুলনায় বাল্যবিবাহের ঘটনা বাড়ছে। অসচেতন অভিভাবকেরা বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। এ অবস্থা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, আইনজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ কঠোর অবস্থান নিতে হবে।