রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সেনপাড়ায় পাটখেত থেকে আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে এক কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম বাদল মোল্লা (১৫)। সে নবাবপুর ইউনিয়নের বড়হিজলী গড়িয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবার নাম হুমায়ন মোল্লা। সে বড়হিজলী দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, জাহিদ নামের এক যুবক আজ সকালে মাঠে ঘাস কাটতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি পাটখেতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের কৃষকেরা ছুটে আসেন। মৃতদেহের পাশে একটি ধারালো ব্লেড পড়ে ছিল। মৃতদেহের পরনে ছিল জিনসের প্যান্ট। কোনো জামা ছিল না। মাথার নিচে ছিল জমাট বাঁধা রক্ত।
নবাবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কামরুজ্জামান বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির পাশে একটি সেলুনে এক বন্ধুর সঙ্গে বসে ছিল বাদল। তার বন্ধু চুল কাটাচ্ছিল। এ সময় বাদলের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন আসে। ফোনে কথার বলার পর বাদল সেলুন থেকে বের হয়ে যায়। সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দুরে পাটখেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। নাক ও কান দিয়ে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলা হয়েছে।
বাদলের মা আসমা বেগম বলেন, তাঁর স্বামী প্রবাসী। চার ভাইয়ের মধ্যে বাদল ছিল তৃতীয়। গতকাল বিকেলে বাদল বাড়ি থেকে বের হয়। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু কোথায়ও পাওয়া যায়নি। আজ সকালে জানতে পারেন, পাটখেতে বাদলের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।