মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একমাত্র ছেলে তাঁকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকালে কালিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল ওহাব সরকার (৭০)। তিনি কালিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর ছেলের নাম লিয়াকত সরকার (৫০)।
জানতে চাইলে শেখেরনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিয়াকত পলাতক।
মামা লিয়াকত সরকারকে নানা ওহাব তাঁর সম্পদের অংশ বুঝিয়ে দেন। এরপরও সম্পদ দাবি করতেন মামা। এ নিয়ে তিনি প্রায়ই নানাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।আবু সাঈদ, নিহত আবদুল ওহাবের নাতি
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, লিয়াকত ছাড়া আবদুল ওহাবের চার মেয়ে রয়েছে। তাঁদের বিয়ে হয়েছে। লিয়াকত প্রায় ২০ বছর আগে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। কয়েক বছর আগে ওহাব ছেলেমেয়েদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দেন। এ নিয়ে লিয়াকতের সঙ্গে প্রায়ই তাঁর ঝগড়া হতো। আজ সকাল নয়টার দিকে ওহাব মেয়ে সায়েদা বেগম ও নাতি আবু সাঈদকে নিয়ে বাড়ির পাশের জমিতে আগাছা পরিষ্কার করছিলেন। লিয়াকত সেখানে গেলে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে গাছের ডাল দিয়ে ওহাবের ঘাড়ে আঘাত করে চলে যান লিয়াকত। এতে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই ওহাব মারা যান।
আবদুল ওহাবের নাতি আবু সাঈদ বলেন, মামা লিয়াকত সরকারকে নানা ওহাব তাঁর সম্পদের অংশ বুঝিয়ে দেন। এরপরও সম্পদ দাবি করতেন মামা। এ নিয়ে তিনি প্রায়ই নানাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও লিয়াকত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।