মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে পুলিশ। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশা বলেন, ফরিদপুরে যত ধরনের টেন্ডার আছে, সব টেন্ডার থেকে বাবর কমিশন–বাণিজ্য করেছেন। সব ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে বাণিজ্য করে দেশ–বিদেশে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর দীর্ঘ সময় ধরে ফরিদপুরে সব ধরনের টেন্ডারে কমিশন–বাণিজ্য ও সব ধরনের চাকরির ক্ষেত্রে বাণিজ্য করে দেশ–বিদেশে অনেক সম্পত্তি করেছেন। এ ঘটনায় সিআইডি থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানায় অর্থ পাচার আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বাবর ওই মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কোতোয়ালি থানা–পুলিশের একটি দল ঢাকার ভাটারা থানার বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। আজ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে আপাতত তাঁর রিমান্ড চাওয়া হবে না।
দেশে বা বিদেশে বাবরের সম্পত্তির পরিমাণ কত—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এই মুহূর্তে বলা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত করেছে সিআইডি। তারাই বিষয়টি বলতে পারবে।’
পুলিশ জানায়, অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামিরা হলেন সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এ এইচ এম ফুয়াদ, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বরকত, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান ওরফে রুবেল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম ওরফে লেভী, আশিকুর রহমান ওরফে ফারহান, ফাহান বিন ওয়াজেদ ওরফে ফাহিম, কামরুল হাসান ওরফে ডেভিড, মোহাম্মদ আলী মিনার ও তারিকুল ইসলাম ওরফে নাসিম। তাঁদের মধ্যে পুলিশের হাতে আটক আছেন ছয়জন। আর জামিনে আছেন দুজন। বাকি তিনজন এখনো পলাতক।
বাবরকে বিকেলে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।