বাগেরহাটে এই প্রথম করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের বাড়ি জেলার চিতলমারী উপজেলার একটি গ্রামে। আজ বুধবার বেলা দুইটায় বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন হুমায়ুন কবির বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা থেকে কদিন আগে বাগেরহাটে আসেন। তিনি অন্য যেসব মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছিলেন, তা যাচাই করার কাজ চলছে।
আক্রান্ত ওই যুবক নিজ বাড়িতে আছেন। তাঁর বয়স ৩৫ বছর। তাঁর বাড়ি লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। তাঁর দেহে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ ছিল না। তবে তিনি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকা মাদারীপুর জেলাসংলগ্ন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার একটি এলাকা থেকে চিতলমারী ফেরেন। তাই ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ।
এর আগে মঙ্গলবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট দুজন চিকিৎসক বাগেরহাটের চিতলমারীর ওই যুবকের করোনা ‘পজিটিভ’ হওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন। তাঁরা বলেন, মঙ্গলবার খুলনা বিভাগের মোট ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মারুফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আক্রান্ত যুবক ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি এলাকার মসজিদে ইমামতি করতেন। ৯ এপ্রিল তিনি ভাঙ্গা থেকে চিতলমারীতে নিজ বাড়িতে ফেরেন। করোনার তেমন কোনো উপসর্গ না থাকলেও বাইরে থেকে আসায় সন্দেহ ছিল। তাই ১১ এপ্রিল ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তিসহ অন্য জেলা থেকে আসা মোট পাঁচজনের নমুনা একই দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ওই যুবকের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন। করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি ও তাঁর আশপাশের মোট ১৬টি বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, পুলিশ সুপারসহ উর্ধতনরা ওই ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে রোগীর সাথে কথা বলেছেন। তাকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। তিনি সুস্থ আছেন।’
এদিকে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে চিতলমারীসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় আসা ৭৮৫ জনকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।