পটুয়াখালীর বাউফলে সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভায় ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমপক্ষে ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার ৯৮ নম্বর গোসিংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিটন (৪০), সদস্যসচিব মো. নাইম আহম্মেদ (৩২), দলের কর্মী মো. সজীব (৩০), মিরাজ হোসেন (৩০) ও আমিনুল ইসলাম (৩৫)।
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের ভাষ্য, স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে সদর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল কর্মিসভার আয়োজন করে। সকাল ১০টার দিকে সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগের কর্মীরা সকাল ৯টার দিকে হামলা চালান। এ সময় তাঁরা সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ও কয়েকটি টেবিল ভাঙচুর করেন। এ খবর পেয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. খলিলুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লিটন ও সদস্যসচিব মো. নাইম আহম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল সভাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে দলটি হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় ছাত্রলীগের ১৫-২০ জনের একটি দল আবার ওই সমাবেশে হামলা চালায়। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
মো. লিটন অভিযোগ করে বলেন, বাউফল পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. আরিফ খানের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল রামদা, হকিস্টিক, লাঠিসোঁটা নিয়ে দুই দফায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এ সময় তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করে আহত করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আরিফ মুঠোফোনে সভা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য হুমকিও দিয়েছিলেন বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ খান বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের দলীয় কোন্দলের জেরে হামলা ও মারামারির ওই ঘটনার ঘটেছে। তিনি বা ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের খবর পেয়ে সভাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় কিছু চেয়ার ভাঙচুর করার এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কারা, কী উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।