এক নয়, দুই দুইবার (ডাবল) বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে নারীদের মধ্যে রেকর্ড করতে যাচ্ছেন ভারতীয় নারী সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন। গত বছরের ২৩ নভেম্বর এই চ্যানেলে তিনি সাঁতারে সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড।
টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ জেটি থেকে সেন্টমার্টিন জেটি পর্যন্ত ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের স্রোতোধারাটির নাম বাংলা চ্যানেল। আজ রোববার এই পথ দুবার পাড়ি দেবেন নাসরিন। একেই বলা হচ্ছে ‘ডাবল সাঁতার’। এই প্রথম কোনো নারী এই পথে ডাবল সাঁতার দিচ্ছেন।
আজ রোববার সকাল ৬টা ১২ মিনিটে সেন্ট মার্টিন থেকে সাঁতার শুরু করেন নাসরিন। ৩ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট সাঁতার কেটে তিনি সকাল ১০টায় পৌঁছান টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে। সেখানে কিছু সময় বিরতি নিয়ে তিনি আবার সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে সাঁতার শুরু করেছেন। এভারেস্ট একাডেমি এই সাঁতার আয়োজনের উদ্যোগ নেয় ।
২৫ বছর বয়সী এই নারীর জন্মস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায়। তিনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর করেন। বর্তমানে তিনি কলকাতার আয়কর দপ্তরে চাকরি করছেন। এবার তাঁর সঙ্গে আছেন বাবা শেখ আফসার আহমেদ।
২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি বাংলা চ্যানেলের যাত্রা শুরু হয়। এ চ্যানেলটি ‘বাংলা চ্যানেলে’র আবিষ্কারক প্রয়াত আলোকচিত্রী কাজী হামিদুল হক।
বাংলা চ্যানেল সাঁতরে পাড়ি দিতে কয়েক দিন আগে বাংলাদেশে এসেছেন নাসরিন। গত বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সেন্টমার্টিনে অনুশীলন করেন ভারতীয় এই নারী সাঁতারু।
এই চ্যানেলে গত বছর ১ মে পুরুষদের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডাবল সাঁতারের রেকর্ড করেন আরেক ভারতীয় পুনের সাম্পান্না রমেশ সেলার। তিনি সেবার ডাবল সাঁতারে সময় নিয়েছেন ৯ ঘণ্টা ১০ মিনিট। তবে এবারই প্রথম কোনো নারী সাঁতারু বাংলা চ্যানেলে ডাবল সাঁতার দিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন।
নাসরিন রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হলে বাংলা চ্যানেলটি পাড়ি দিয়ে প্রথম নারী সাঁতারু হিসেবে ডাবল ক্রস করব।’
এভারেস্ট একাডেমির সাঁতার পরিচালনাকারী দলের নেভিগেটর রাফাহ্ উদ্দিন সিরাজী বলেন, কাজী হামিদুল হকের প্রচেষ্টায় এই বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করা হয়েছিল। এবার প্রথম কোনো নারী চ্যানেলটিতে ডাবল সাঁতার দিচ্ছেন। প্রতিবছর এখানে দেশি-বিদেশি অনেক সাঁতারু অংশগ্রহণ করে বাংলা চ্যানেল বিজয়ের খাতায় নাম লিখছেন।