বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলি সীমান্ত থেকে গতকাল সোমবার বিকেলে ইউছুপ (৩২) নামের একজনকে মিয়ানমারের মাদক পাচারকারী চক্রের সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে। মিয়ানমারের পাচারকারীরা ফুলতলি এলাকার এক মাদক পাচারকারীর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করার জন্য ইউছুপকে তুলে নেয়। ইউছুপ এ সময় সীমান্তরেখায় গরু চরাচ্ছিলেন বলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কর্মকর্তারা আজ মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
স্থানীয় লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ফুলতলি এলাকার ৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছাকাছি শূন্যরেখায় ইউছুপ গরু চরাতে যান। এ সময় সীমান্তের ওপার থেকে কয়েকজন এসে তাঁকে মিয়ানমারের ভূখণ্ডে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে বেঁধে রেখে তাঁদের পাওনা টাকা না দিলে ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার বলেন, ফুলতলি বরাবর সীমান্তের এপার (বাংলাদেশ) ও ওপারের (মিয়ানামার) কিছু লোক ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাদের মধ্যে লেনদেন থাকে। এ রকম লেনদেনে ফুলতলির একজন থেকে ওপারের ব্যবসায়ীদের ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে বলে শোনা যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই টাকা দিচ্ছেন না বলে মিয়ানমারের পাচারকারীরা অভিযোগ করে। এ জন্য শূন্যরেখা থেকে ইউছুপকে ধরে নিয়ে গেছে। ওই টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেবে বলে সংবাদ দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল শাহ আবদুল আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, ধরে নিয়ে যাওয়া নিরীহ ইউছুপ কৃষক। ওপারের স্থানীয় ব্যক্তিরা পাওনা টাকা আদায়ের জন্য তাঁকে তুলে নিয়ে সেখানে কোথাও জিম্মি করে রেখে দিয়েছে। এতে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কোনো ভূমিকা নেই।