বাঁশখালীর সরল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি নেতা) লিয়াকত আলীসহ তাঁর অনুসারীদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে সরল ইউনিয়নের হাকিমিয়া মাদ্রাসা এলাকায় লিয়াকতের গণসংযোগ চলাকালে নৌকার প্রার্থী ও সমর্থকেরা হামলা করেন। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত আলী, আবদুল্লাহ, আমান উল্লাহ, আবদুস শুক্কুর ও আমান। তাঁদের মধ্যে আবদুল্লাহ ও আমান উল্লাহকে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিকেলে লিয়াকত আলী গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে প্রায় ৫০ জন সমর্থক ছিলেন। গণসংযোগের একপর্যায়ে হাকিমিয়া মাদ্রাসার সামনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রশিদ আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মোটর শোভাযাত্রা যাচ্ছিল। তাতে সামনের মাইক্রোবাসে রশিদ আহমদ বসা ছিলেন। সঙ্গে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তাঁর অনুসারীরা ছিলেন।
লিয়াকত আলীর ছেলে মুরসালিন ওসামা বলেন, ‘তাদের মোটরগাড়ির শোভাযাত্রা আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এরপর পেছন থেকে আমাদের গণসংযোগে লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। একপর্যায়ে সামনে এসে আমার বাবার ওপর হামলা করে। বাবাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। এতে কয়েকজনের রক্তাক্ত অবস্থা হয়।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে রশিদ আহমদ চৌধুরীর মুঠোফোন কল করলে তিনি সাড়া দেননি।
জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, দুই প্রার্থীর দুটি মিছিল যাওয়ার সময় ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া হয়েছে বলে শুনেছেন। পরে সেখানে পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।